| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি ‘বিএনপির কোনো বিপদ নয় বরং আরো শক্তিশালী হয়েছে’


‘বিএনপির কোনো বিপদ নয় বরং আরো শক্তিশালী হয়েছে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     27 September, 2023     02:54 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি খুশির খবর নয়, বরং দেশের জন্য লজ্জার। এই কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশকে জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় এ দেশে শুধু তারাই থাকতে পারবে। সরকারের লোকজন বলছে, ভিসানীতির ফলে বিএনপি বিপদে আছে। বিএনপি কেনো বিপদে পড়বে, আসলে বিএনপির কোনো বিপদ নয় বরং আন্দোলন করতে যেয়ে আরো শক্তিশালী হয়েছে বিএনপি।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ মির্জা ফখরুল ধমক দিয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা বলে। নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেননি। আমাদের একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামাতে পারেননি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে থামান যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না। আমরা পরোয়া করি আমাদের সংবিধান। আমরা চলব আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, আমরা কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না।

ওবায়দুল কাদেরের ওই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভূখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়া জন্য নয়। আমরা চেয়েছিলাম  একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে। গতকাল এক ছেলের সঙ্গে কথা হলো। সে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে। কিন্তু পরিবার বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় চাকরি হয়নি। বিএনপি পরিবারের সঙ্গে ন্যূনতম সম্পর্ক থাকলে তার চাকরি-প্রমোশন হয় না। প্রত্যেক মানুষ আজ মিথ্যা মামলার জন্য অসহ্য হয়ে পড়ছে।’

আ স ম হান্নান শাহের স্মরণে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী থেকে যে নেতা বের হয়ে আসেন তিনি যোগ্যতা-দক্ষতা নিয়ে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। উনার মতো নেতা কমই পাওয়া যায়।